বিএমডিএ’র ২৯ কর্মচারীকে পরিকল্পিতভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ : ক্ষোভ-অসন্তোষ

বিএমডিএ’র ২৯ কর্মচারীকে পরিকল্পিতভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ : ক্ষোভ-অসন্তোষ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ২৯ জন কর্মচারীকে একসঙ্গে স্ট্যা- রিলিজ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বিএমডিএ’র সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো: আশরাফুল ইসলাম।

গত ২৫ আগস্ট তিনি এতে স্বাক্ষর করেন। স্ট্যা- রিলিজ হওয়া কর্মচারীরা অফিস আদেশটি হাতে পেয়েছেন পরদিন সোমবার (২৬ আগস্ট)। আর গতকাল মঙ্গলবারই (২৭ (আগস্ট) বদলীকৃত নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে ।

স্ট্যা- রিলিজ হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে সহকারী হিসাব রক্ষক ৩ জন, সহকারী মেকানিক ৬ জন, মেকানিক ১ জন, ড্রাইভার ৮ জন, গুদাম রক্ষক ৪ জন, প্রধান সহকারী ৩ জন, অফিস সহায়ক ১ জন ও সহকারী কোষাধ্যক্ষ ৩ জন। পৃথক ৮টি অফিস আদেশের মাধ্যমে তাদের স্ট্যা- রিলিজ করা হয়েছে। তারা বিএমডিএ রাজশাহী সদর দফতর এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন জোন অফিসে কর্মরত ছিলেন। এখন তাদের বিভিন্ন জোন অফিসে পরিবর্তিত নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সভাপতি মেসবাউল হক বলেন, একসঙ্গে ২৯ জন কর্মচাজরীকে স্ট্যা- রিলিজ করা খুবই দু:খজনক। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে এসব কর্মচারীকে স্ট্যা- রিলিজ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ও সিবিএ’কে দুর্বল করতেই এই হটকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে সর্বস্তরের কর্মচারীদের মধ্যেক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মেসবাউল হক বলেন, স্ট্যা- রিলিজ হওয়া কর্মচারীদের অধিকাংশেরই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগার কথা। সেখানে অফিস আদেশ হাতে পাওয়ার পর থেকে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই দিন সময় পাচ্ছেন তারা। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বিএমডিএ’র আওতাধীন বিভিন্ন দূরবর্তী জোন অফিসে যোগদান করা রীতিমত কষ্টের ও হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক-কর্মচারীদের (সিবিএ) ৮ দফা দাবি না মানায় এবং এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রেজিস্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স বিভাগীয় শ্রম অধিদফতর রাজশাহীর পরিচালক বাদী হয়ে বিএমডিএ’র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী শ্রম আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছেন। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২১০ (৭)/৩০১ ধারার অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া, হয়রানি, খারাপ আচরণ করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিএমডিএ’র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে বিএমডিএ’র সচিব (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৮ আগস্ট  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply